পৌষের শেষ সময়েই যেন শীত জেঁকে বসেছে। দু’দিন তাপমাত্রা হুহু করে নেমে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। দিনে সূর্যের আলো থাকলেও হিমেল বাতাসে অনুভূত হচ্ছে বরফের মত শীত। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের প্রকোপে জর্জরিত হয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার মানুষ। গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষগুলো খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় চুয়াডাঙ্গা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারি সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনজীবন অনেকটাই থমকে গেছে। মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর চাপ।
আজ সকাল ৯টায় সদর হাসপাতালের ১৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে অন্তত ৪২ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। এ ছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৫১ জন রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই ছিল শিশু। একইভাবে পুরুষ ও নারী মেডিসিন ওয়ার্ডে ঠান্ডাজনিত রোগ নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসতন্ত্রের রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।
এ ছাড়া বহির্বিভাগেও রোগীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিদিন জেলা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে ছুটে আসছে সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারটির জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান সমকালকে বলেন, উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। আজই চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রুপ নিয়েছে। এটি আগামি কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে পাশাপাশি শীতও বাড়বে।
খুলনা গেজেট/ টিএ